1. admin@paribahanbarta.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

নতুন চারটি আন্তর্জাতিক বাস রুট চালু করার কথা ভাবছে বিআরটিসি

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪

ডেক্স রিপোর্টঃ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) ভারত ও নেপালের সাথে চারটি নতুন আন্তর্জাতিক বাস রুট চালু করার পরিকল্পনা করেছে। কারণ পরিবহনের এই মাধ্যমটি সহজলভ্য হওয়ায় যাত্রীরা বাস ভ্রমণে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, নতুন আন্তর্জাতিক বাস রুটগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম-কলকাতা, ঢাকা-গ্যাংটক (সিকিম)-দার্জিলিং, বরিশাল-কলকাতা এবং ঢাকা-নেপাল। বিআরটিসি এক জরিপে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটে লাভজনক হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিআরটিসি। এরপর রুট চালুর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তাবটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ঢাকা-গ্যাংটক (সিকিম)-দার্জিলিং রুটে একটি সমীক্ষা ১২-১৬ ডিসেম্বর ২০১৯-এ একটি ট্রায়াল রান সহ পরিচালিত হয়েছিল। উভয় দেশের সম্মতিতে প্রস্তাবটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান বিআরটিসি কর্মকর্তারা। ২০১৮ সালে ঢাকা-নেপাল রুটে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল যা চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। বরিশাল-কলকাতা রুটে তেমন অগ্রগতি না হলেও শিগগিরই বিআরটিসি এই রুটে জরিপ করবে। বিআরটিসি চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই চট্টগ্রাম-কলকাতা এবং ঢাকা-গ্যাংটক-দার্জিলিং রুট চালু হবে। ঢাকা-নেপাল বাস রুটের কাজ অনেক এগিয়েছে তবে তিন দেশ এখানে যুক্ত হওয়ায় কিছুটা সময় লাগবে। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থও রয়েছে। ১৯৯৯ সালে ঢাকা-কলকাতা রুটে আন্তর্জাতিক বাস সার্ভিস চালু হয়। বর্তমানে, ঢাকা-কলকাতা, আগরতলা-ঢাকা, ঢাকা-শিলং-গৌহাটি এবং ঢাকা-খুলনা-কলকাতা এই চারটি আন্তর্জাতিক বাস রুট রয়েছে। এই বাসগুলি যৌথভাবে বিআরটিসি, পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম এবং শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস দ্বারা পরিচালিত হয়। বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, “যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাস রুট বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, আগে ঢাকা-গ্যাংটক-দার্জিলিং রুট খুলে দিলে ভালো হবে কারণ এই রুটে অনেক যাত্রী রয়েছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের প্রয়োজনে সময় কমলে আরও বেশি মানুষ বাস রুট পছন্দ করবে, তিনি যোগ করেন। তথ্য বলছে, ঋণ নিয়ে দামী বাস কেনা, নির্ধারিত আয়ুর আগেই লক্করঝক্করে পরিণত হওয়া, এরপর অকশন এবং আবার ঋণ করে বাস কেনা। এই বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বিআরটিসির যাত্রী পরিবহন সেবা। পরিচালন ব্যবস্থাপনায় সম্প্রতি কিছুটা আয় দেখালেও, প্রায় হাজার কোটি টাকার সরকারি ঋণের দায় আছে প্রতিষ্ঠানটির। গত ৪ বছরে অন্তত ৪শ বাস অকোজো ঘোষণা হয়েছে সংস্থাটির বহর থেকে। সচল যে সব বাস চলছে তার বেশিরভাগই স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী লিজ কিংবা ভাড়া দেয়া বিভিন্ন সরকারি আধা সরকারি দপ্তরগুলোর কাছে। দিন দিন যাত্রী সেবাটাই গৌণ হচ্ছে বিআরটিসিতে। এতকিছুর পরেও নতুন ৪টি আন্তর্জাতিক বাস রুট করার কথা ভাবছে প্রতিষ্ঠানটি। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পেশাদারিত্ব, প্রতিশ্রুতি ও জবাবদিহিতা অনুপস্থিত। এসব নিশ্চিত করতে পারলে সাফল্য আসবে পরিবহনের এই খাত থেকে। উল্লেখ্য, আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ে এগিয়ে রয়েছে, পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ছয়টি সরাসরি রেল যোগাযোগ রয়েছে, অন্যদিকে দেশে সরাসরি বাস রুট রয়েছে মাত্র চারটি।

সুত্রঃ fns24

এ জাতীয় আরও খবর
Copyright © 2023. Paribahanbarta.com. All Rights Reserve.
Theme Customized By Shakil IT Park