অনলাইন ডেক্সঃ বাংলাদেশের রাস্তায় বাণিজ্যিক বাস খাতে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘হিনো’র প্রভাব কমছে। মূলত অশোক লেল্যান্ড, টাটা ও আইশারের মতো ভারতীয় ব্র্যান্ডগুলোর উত্থানের ফলে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার মুখে গতি হারিয়েছে হিনো।
বাংলাদেশে হিনো ব্র্যান্ডের বাসের কান্ট্রি ডিসট্রিবিউটর আফতাব অটোমোবাইল। ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত গত ছয় বছরে প্রতিষ্ঠানটির আয় প্রায় ৭৫ শতাংশ কমেছে। গত হিসাব বছরে কোম্পানিটি হিনো বাস বিক্রি থেকে মাত্র ১১৮ কোটি টাকা আয় করেছে।
আফতাব অটোর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে, কোম্পানিটি ৬০৪ ইউনিট হিনো বাস বিক্রি করেছিল। ২০২২-২৩ হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি ৭০ শতাংশ কমে হয়েছে মাত্র ১৮১ ইউনিট।
অন্যদিকে, অশোক লেল্যান্ডের পরিবেশক ইফাদ অটো ২০২২-২৩ হিসাব বছরে ১,৮০৪টি বাস বিক্রি করেছে। কোম্পানিটির অশোক লেল্যান্ড বাসের বিক্রি গত সাত বছরে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একসময় দেশের দূরপাল্লার রুটে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাস ছিল হিনো। কিন্তু অশোক লেল্যান্ড, টাটা এবং আইশারের মতো ভারতভিত্তিক বাসের উত্থানের কারণে এর জনপ্রিয়তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
এই বাসগুলো হিনোর তুলনায় ৪০-৫০ শতাংশ কম মূল্যে পাওয়া যায়। আর দূরপাল্লার পরিষেবায়ও ভাল সেবা পাওয়া যায় বলে বাজার অংশীদারেরা জানিয়েছেন।
তবে বাস অপারেটররা অশোক লেল্যান্ড বা টাটার গাড়িতে হিনোর লোগো ব্যবহার করছেন। মূলত দূরপাল্লার বাস খাতে হিনোর জনপ্রিয়তার কারণেই তারা এই কাজ করেন।
এছাড়া বাংলাদেশে নন-এসি বাসের চেয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের চাহিদা অনেক বেশি। এই ক্ষেত্রে দেশের বাজার ধরতে ব্যর্থ হয়েছে হিনো। স্ক্যানিয়া, হুন্দাই, ম্যান এবং অশোক লেল্যান্ড বাস অপারেটরদের শীর্ষ পছন্দ।
আফতাব অটো তাদের আর্থিক বিবৃতিতে বলেছে, আয় কমে যাওয়ার মূল কারণ, হিনো চেসিস মডেলের পরিবর্তন এবং ডলার সংকট।
সুত্রঃ টি বি এস